বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় তাঁর ওপর এই হামলার অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা আজাদ নিজেই।

আজাদ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচি উপলক্ষে উপজেলার ফতেপুর এলাকায় খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনিসহ ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

গুরুতর আহত নজরুল ইসলাম আজাদ বর্তমানে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই হামলা ও নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগের সময়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ আজ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গরিব ও দুস্থদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় নজরুল ইসলাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘করোনাভাইরাসের দুর্যোগের সময়ে দেশে যখন দুর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছে, তখন ক্ষুধার্ত ও নিরন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় সেই মানবিক কাজটিকে কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছে না বর্তমান হিংসাশ্রয়ী সরকার। তাই দলীয় লোকজনদের দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হিংস্র আচরণ চালানো হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের এই জনহিতকর কাজে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা নিঃসন্দেহে চলমান দুঃশাসনেরই ভয়াবহ নজির। ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক এ ধরনের পৈশাচিক হামলা ও ন্যক্কারজনক অপকর্মের কারণেই করোনা মহামারির এই সংকটময় সময়ে দেশ আরো গভীর অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। এই করোনা মহামারির মধ্যে গরিব ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের হামলা অশুভ ইঙ্গিতই বহন করে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা নজরুল ইসলাম আজাদসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করার অমানবিক ও জঘন্য আচরণের ঘটনায় আমি ধিক্কার জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত নজরুল ইসলাম আজাদসহ আহত অন্য নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।’